বিশ্বায়ন কাকে বলে বিশ্বায়নের প্রকৃতি আলোচনা করো

বিশ্বায়ন [ Globalisation ]

 বিশ্বায়ন কাকে বলে

বিশ্বায়ন কাকে বলে বিশ্বায়নের প্রকৃতি আলোচনা কর  

বিশ্বায়ন কি বিশ্বায়নের সংজ্ঞা দাও 

সংস্কৃতি গভীরভাবে সাম্প্রতিককালে ‘ বিশ্বায়নকে কেন্দ্র করে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি , রাজনীতি , সমাজনীতি আলোড়িত হচ্ছে । কিন্তু বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারবিশ্লেষণ করার ফলে বিশ্বায়নের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা লক্ষ করা যায় । জোসেফ স্টিগলিৎস্ ( Joseph Stiglitz ) - এর মতে , বিশ্বায়ন হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জনগণের মধ্যে এরূপ ঘনিষ্ঠতর সংহতিসাধন ( the closer integration ) , যা পরিবহণ ও যোগাযোগের ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস করেছে এবং দ্রব্যসামগ্রী , পরিসেবা , পুঁজি , জ্ঞান , এমনকি , মানুষের বিশ্বব্যাপী অবাধ যাতায়াতের ওপর আরোপিত কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা ( artificial barriers ) - কেও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে । ডেভিড হেল্ড ( David Held ) বিশ্বায়নকে ‘ কার্যকলাপ , মিথস্ক্রিয়া ও ক্ষমতার আন্তর্মহাদেশীয় কিংবা আন্তঃআঞ্চলিক প্রবাহ ও নেটওয়ার্ক ’ ( ‘ transcontinental or interregional flows and networks of activities , interaction and power ' ) বলে বর্ণনা করেছেন । অন্যভাবে বলা যায় , বিশ্বায়ন হল ‘ সাংস্কৃতিক থেকে অপরাধমূলক এবং আর্থিক থেকে পরিবেশগত — সব দিক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃসংযোগ ' ।

কিন্তু পিটার মারকাস ( Peter Marcus ) - এর মতে , বিশ্বায়ন হল পুঁজিবাদের এমন ‘ এক ধরনের বিশেষ রূপ ' ( ' a particular form of capitalism ' ) , যা ভৌগোলিক এবং মানবজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমানভাবে পুঁজিবাদী সম্পর্কের সম্প্রসারণ ঘটায় । ‘ দ্য কানাডিয়ান ইউনিটারিয়ান কাউন্সিল ’ ( ‘ The Canadian Unitarian Council ' — CUC ) কর্তৃক গৃহীত বিশ্বায়ন - সংক্রান্ত প্রস্তাবে ( মে , ২০০০ ) বলা হয় যে , বিশ্বায়ন হল এমন ‘ একটি প্রক্রিয়া ’ , যা ‘ পুঁজিবাদের আর্থসামাজিক বিকাশের একটি স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে । সংক্ষেপে বলতে গেলে বিশ্বায়নকে এমন একটি বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়া বলে চিহ্নিত করা যায় , যাতে রাষ্ট্র - সংক্রান্ত ধারণার অবসান ঘটিয়ে অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী অবাধ আদানপ্রদান চালানো সম্ভব হয় ।

বিশ্বায়ন কাকে বলে বিশ্বায়নের প্রকৃতি আলোচনা করো pdf

প্রকৃতি ( Nature )

 বিশ্বায়ন নিয়ে সাম্প্রতিককালে সমগ্র বিশ্ব আলোড়িত হলেও তা নতুন কোনো ধারণা বা মতাদর্শ নয় । কারণ , শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী সময় থেকে ঔপনিবেশিকতার হাত ধরে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে পুঁজির গমনাগমন ঘটেছে । ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলি কাঁচামাল ও উদ্বৃত্ত মূল্য লুণ্ঠনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুঁজি রপ্তানি করেছে । কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়কালটিকে ' রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের স্বর্ণযুগ বলে চিহ্নিত করা যায় । ওই সময়কালে উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশেই শ্রমিক ও পুঁজির সম্পর্ক রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত হতো । এমনকি , নগদ পুঁজির চলাচল , বৈদেশিক বাণিজ্য এবং ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক ক্ষেত্রের ওপর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারত । কিন্তু নানাকারণে উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়লে নয়া উদারনীতিবাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রবক্তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটিয়ে অবাদ বাণিজ্য নীতির তত্ত্ব প্রচার করেন । বলা বাহুল্য , লগ্নি পুঁজির বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই তাঁরা অবাধ বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন । এর ফলে এই নয়া সাম্রাজ্যবাদী লিপ্সার শোষণমূলক চরিত্রটিকে আড়াল করার জন্য তার নতুন নাম দেওয়া হয় ' বিশ্বায়ন ' ।বিশ্বায়নের প্রভাব

 বিশ্বায়নের প্রকৃতিকে প্রধানত নিম্নলিখিত তিনটি দিক থেকে আলোচনা করা যায় :

বিশ্বায়ন কাকে বলে বিশ্বায়নের বিভিন্ন রূপ আলোচনা করো

1. আর্থিক দিক : প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমিয়কুমার বাগচি আর্থিক ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ দিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ।

 এগুলি হল

 [ i ] আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ,

[ ii ] বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে লোকজনের অভিগমন ( immigration ) ও নির্গমন ( migration ) ,

[ iii ] বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থ ও অন্যান্য বিনিময় মাধ্যমের সঞ্চা

[ iv ] এক দেশের পুঁজি অন্য দেশে । াগের মাধ্যমে সেখানে শিল্পজাত দ্রব্য , কৃষিজ পণ্য অথবা পরিসেবামূলক পণ্য উৎপাদন করে সংশ্লিষ্ট দেশে কিংবা অন্য দেশে বিক্রয়ের প্রবাহ সৃষ্টি ,

🔥 👉 🔥🔥  ক্ষমতা কাকে বলে ক্ষমতার মূলউপাদানগুলি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো

[ v ] এক দেশ থেকে অন্য দেশে লগ্নি পুঁজির আদানপ্রদান ,

[ vi ] বহুজাতিক অথবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থাগুলি ( multinational or transnational corporations ) - কে বাণিজ্য , বিনিয়োগ ও উৎপাদনের অবাধ স্বাধীনতাদান এবং

[ vii ] বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রযুক্তির আদানপ্রদান এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তথ্য মাধ্যমের বিস্তার ও বিভিন্ন দেশের তথ্য মাধ্যমের ওপর বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির প্রয়োগ ।

2. রাজনৈতিক দিক : রাজনৈতিক দিক থেকে বিশ্বায়ন জাতি - রাষ্ট্র ( Nation State ) - এর সম্পূর্ণ বিরোধী । কারণ , সাধারণভাবে গণতান্ত্রিক প্রকৃতিসম্পন্ন প্রতিটি জাতি - রাষ্ট্র সেখানকার মানুষের সুখসুবিধা দেখার জন্য দায়বদ্ধ থাকে বলে তারা শ্রম ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে পুঁজির অবাধ মুনাফা ও অবাধ লুণ্ঠনের ওপর নানাধরনের বাধানিষেধ আরোপ করে । তাই জাতি - রাষ্ট্রকে অকেজো ক'রে দেওয়ার পক্ষপাতী হলেও বিশ্বায়নের পশ্চিমি প্রবক্তারা এর সম্পূর্ণ বিলোপসাধন করে বিশ্বরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাও চান না । কারণ , এরূপ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে শোষণ ও বঞ্চনার দায়দায়িত্ব শেষপর্যন্ত তার ওপরেই বর্তাবে । তাই তাঁরা চান এমন এক ধরনের জাতি - রাষ্ট্র , যা পুঁজিপতিশ্রেণির সম্পত্তি ও একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সীমাহীন হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করতেও দ্বিধা করবে না । এইভাবে জাতি - রাষ্ট্রের গুরুত্ব হ্রাসের ওপর জোর দিলেও বিশ্বায়ন বিস্ময়করভাবে স্বায়ত্তশাসনের নানাবিধ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখতে আগ্রহী । এর পেছনে যে কারণটি রয়েছে , তা হল শক্তিশালী জাতি - রাষ্ট্র বিশ্বায়িত বৃহৎ পুঁজির সঙ্গে যতখানি দরকষাকষি করতে সক্ষম , ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলির সেই সামর্থ্য থাকে না । তাই সেগুলি বৃহৎ পুঁজির নির্দেশেই পরিচালিত হতে বাধ্য হয় । এইভাবে বিশ্বায়নের পাশাপাশি বিশ্বের আঞ্চলিকীকরণও ঘটেছে ।

👉 জাতীয় স্বার্থের সংজ্ঞা দাও 🔥 👉 🔥 

3. সাংস্কৃতিক দিক : বিশ্বায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সংস্কৃতির বিশ্বায়ন । এরূপ বিশ্বায়নের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী একটি সমরূপ সংস্কৃতি ( homogeneous culture ) গড়ে তোলা । ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক গণমাধ্যমের সাহায্যে এরুপ সংস্কৃতি গড়ে তোলার কাজে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্পোরেশনগুলি আত্মনিয়োগ করে । তারা সাংস্কৃতিক প্রবাহকে জাতি - রাষ্ট্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে । এরুপ বিশ্বায়নের ফলে এক দেশের মানুষ স্বল্পব্যয়ে অন্যান্য দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে এবং উন্নত সংস্কৃতির সাহায্য নিয়ে নিজেদের সেকেলে সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছে বলে বিশ্বায়নের প্রবক্তারা দাবি করেন ।

বিশ্বায়ন কাকে বলে political science

বিশ্বায়নের অর্থ [ Meaning of Globalisation ]

 বিশ্বায়নের একটি সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা নির্দেশ করা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে । কারণ , ‘ বিশ্ব ’ শব্দটির অস্তিত্ব সুপ্রাচীনকাল থেকে লক্ষ করা গেলেও ‘ বিশ্বায়ন ’ , বিশ্বীকরণ ’ প্রভৃতি ধারণাগুলি বিশ শতকের ষাটের দশক থেকে ব্যবহৃত হতে থাকে । তবে ‘ বিশ্বায়ন ’ ধারণাটির প্রবর্তক রোল্যান্ড রবার্টসন ( Roland Robertson ) - এর মতে , বিগত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্বায়ন শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে । তিনি বিশ্বের সংকুচিতকরণ ও একত্রীকরণকেই বিশ্বায়ন বলে চিহ্নিত করেছিলেন । বিশ্বায়ন ধারণাটির কেন্দ্রীয় বিষয় হল এক ও অবিভক্ত বিশ্ব গঠন । কিন্তু সেই বিশ্বের আকৃতি ও প্রকৃতি কেমন হবে তা নিয়ে যেমন বিতর্ক রয়েছে , তেমনি সেই বিশ্বে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমিকতার অস্তিত্ব থাকবে কি না এবং থাকলে কতখানি থাকবে , তা নিয়েও বিতর্কের অবসান আজও ঘটেনি । শিল্পায়নের ফলে সমগ্র ইউরোপে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার মধ্যে আদানপ্রদানের যে - প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল , সেটিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাল্পনিক ( Utopian ) সমাজবাদী সাঁ সিমোঁ ( Saint Simon ) এমন একটি সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন , যা সমগ্র ইউরোপকে নিয়ন্ত্রণ করবে । এরূপ ব্যবস্থার পরিচালিকা শক্তি হবে সর্বজনগ্রাহ্য একটি মানবতাবাদী দর্শন । এমনকি কার্ল মার্কস ( Karl Marx ) ‘ বিশ্বায়ন ' শব্দটি প্রয়োগ না করলেও ‘ জাতিসমূহের বিশ্বজনীন পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ’ ( ' universal interdependence of nations ' ) - র ধারণাটি তুলে ধরেছিলেন । তিনি বলেছিলেন যে , ‘ পুরোনো স্থানীয় ও জাতীয় স্বাতন্ত্র্য ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা ’ ( ‘ The old local and national seclusion and self - sufficiency ' ) - র পরিবর্তে আমরা পেয়েছি ‘ জাতিসমূহের বিশ্বজনীন পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ’ ( ' universal interdependence ' ) । এর ফলে নতুন নতুন বাজার পুঁজিপতিদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে যায় । তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নতুন শিল্পব্যবস্থায় তারা শুধু জাতীয় সম্পদেরই ব্যবহার করেনি , সেই সঙ্গে ‘ বিশ্ব ’ ( ' globe ' ) - এর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাঁচামালও সংগ্রহ করতে শুরু করেছিল । আবার , শিল্পজাত দ্রব্যগুলি ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদিত হওয়ার ফলে সেগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় । আবার , একই সঙ্গে শিল্পপুঁজির মালিকরা , অর্থাৎ স্থানীয় পুঁজিপতিরা বিশ্ব পুঁজিপতিশ্রেণিতে রূপান্তরিত হতে পেরেছিল । কিন্তু


উপসংস্থার

 পরিশেষে বলা যেতে পারে , যে - বিশ্বায়ন নয়া উদারনীতিবাদী তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে , সেই তত্ত্বের প্রবক্তারা বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের সম্প্রসারণকে অপ্রতিরোধ্য ক'রে গড়ে তোলার জন্য ‘ সর্বাপেক্ষা কম শক্তিশালী ' রাষ্ট্রের স্লোগান দিয়েছিলেন । তাঁদের অভিমত ছিল সমগ্র বিশ্ব হবে একটি গ্রামের মতো ( ' Global Village ' ) । এর অর্থ— একদিকে থাকবে বিশ্বরাষ্ট্র ( World - state ) আর অন্যদিকে থাকবে স্থানীয় শাসনব্যবস্থা । এই দুটির মধ্যবর্তী স্থানে কোনো রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম কর্তৃত্বের প্রয়োজন নেই । এমনকি , সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রাক্তন মহাসচিব বুত্রোস বুত্রোস - ঘালি ( Boutros Boutros - Ghali ) ১৯৯২ সালে মন্তব্য করেছিলেন যে , ‘ অসীম ও একচেটিয়া ' ( ' absolute and exclusive ' ) সার্বভৌমিকতার সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে বাস্তবতার সঙ্গে এই তত্ত্ব কখনোই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না । আবার , জাতিপুঞ্জের পূর্বতন মহাসচিব কোফি আন্নান ( Kofi Annan ) ১৯৯৯ সালে বলেছিলেন , বিশ্বায়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তিগুলি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমিকতার সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারিত হতে চলেছে । কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন কতটা বাস্তবায়িত হবে , তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে । কারণ পরিবর্তিত বিশ্ব - পরিস্থিতিতে সাবেকি অর্থে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমিকতা কিছুটা হ্রাস পেলেও তার সম্পূর্ণ অবসান ঘটবে — এরূপ আশা করা কষ্টকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয় ।

🔥 আরও পড়ুন    👇👇👇



Post a Comment

0 Comments